নদীমাতৃক দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ।
পদ্মা, মেঘনা, যমুনা দিয়ে ঘেরা আমাদের এই স্বদেশ। চলুন আজ আমরা পদ্মার পানিতে ভেসে
যায়। পদ্মা নদীর কথা আসলেই নজরুল ইসলামের সেই গানের কথা মনে পড়ে যায়,
“পদ্মার ঢউরে…
মোর শুন্য হৃদয় পদ্ম নিয়ে যা
যারে
এই পথে ছিলরে যার রাঙ্গা পা
আমি হারায়াছি তারে…..”
পদ্মা নদীর উৎস ভারতে। বাংলাদেশে
প্রবেশ করেছে চাঁপাই নবাবগঞ্জ এর ভেতর দিয়ে। এই নদীর নামকরন হয়েছে ভারতের গঙ্গা নদীর
দুইটি শাখা ভাগরতী ও পদ্মা । চাঁপাই নবাবগঞ্জ এর শিবগঞ্জ জেলা দিয়ে ভারতের গঙ্গার শাখা
পদ্মা প্রবেশ করে চাঁদপুর এ গিয়ে মিলিত হয় মেঘনা নদীর সাথে।
রাজশাহী পশ্চিমা বাংলাদেশের একটি
প্রধান শহর এবং পদ্মা নদীর উত্তর কিনারে এই শহরের অবস্থান। নদী সীমা থেকে এই শহরের
সর্বোচ্চ উচ্চতা 1571 ফুট এবং গড় উচ্চতা 986 ফুট। পদ্মা নদী আমাদের এই শহরকে দিয়েছে
এক অপরুপ রুপ লাবন্য। ষড়ঋতুর এই দেশে, পদ্মা ফুটিয়ে তোলে তার বিভিন্ন রুপ। নদীর ধার
দিয়ে কাশফুল এবং নদীর বুকে ডিঙ্গী নৌকা, সে এক অন্য রকম অনুভুতি। বর্ষার বাদলে দিনে পদ্মা কানায় কানায় ভরে উঠে আপন শক্তিতে।
যখন গ্রীষ্মের তাপদাহে
চারিদিকে চৌচির অবস্থা তখন পদ্মার মাঝে জেগে ওঠে বালুময় চর সে যেন অন্য একটি অন্য
জীবন। যখন নদীর বাকে সূর্য অস্ত যায় কখন
দৃশ্যটি থাকে দেখার মতন যেটা মুখে বলে বোঝানো যাবে না। রুপ লাবন্যে ঘেরা আমাদের
পদ্মা নদী। আর পদ্মার ইলিশের কথাতো বলাই হয়নি। মায়ের হাতের সেই সরষে ইলিশ, কি মুখে
পানি চলে এল তাইনা।
No comments:
Post a Comment